নৌকার পালে হাওয়া, পিছিয়ে ধানের শীষ

নৌকার পালে হাওয়া, পিছিয়ে ধানের শীষ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আরো দশ মাস বাকি থাকলেও বসে নেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণার আগেই, দেশের বিভিন্ন এলাকায় নৌকায় ভোট চেয়ে নজর কাড়ছে দলটি। বিশেষ করে রাজধানীতে নির্বাচনি প্রচার চলছে বেশি। আগাম ভোট চেয়ে ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে দেখা যাচ্ছে রাজধানীর অনেক এলাকায়। এসব পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে দলটি নেতাকর্মীরা নিজেদের এবং নেতাদের ছবি দিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে গত বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে আসার পথে কর্মীদের হাতে ও তাদের বহনকারী যানবাহনে ব্যানার ও ফেস্টুনে নৌকায় ভোট চাইতে দেখা গেছে। তাতে দলীয় নেতাকর্মীদের ছবির পাশাপাশি নৌকা মার্কারও ছবি শোভা পাচ্ছে। এমনই একটি পোস্টার লক্ষ্য করা গেছে শ্যামলির সমবায় মার্কেটের পয়েন্টে। বড় ধরনের এই পোস্টারে উপরে ছোটো করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছবি এবং নিচে বিশাল আকারে স্থানীয় এমপি ও আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের ছবি। তারও নিচে নৌকা প্রতীক। তাতে লেখা হয়েছে– থাকব নাকো পিছিয়ে নৌকায় ভোট দিয়ে যাব এগিয়ে। কেবল শ্যামলিতেই নয় আরো অনেক এলাকায় এভাবে আগাম ভোট চেয়ে আগামী নির্বাচনি প্রচারণা করছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, অন্যান্য মন্ত্রী, এমপি এবং কেন্দ্রীয় নেতারাও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বা অনুষ্ঠানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নৌকায় ভোট চাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী ভোট চাওয়ার শুরু করার পর থেকেই আগাম ভোট চেয়ে প্রচারণামূলক পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার টানানোর দৃশ্য বেশি দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ভোট চাওয়ার বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বিএনপি। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন এখনো আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি। তফসিল ঘোষণার আগে কেউ ভোট চাইলে তাতে তেমন কিছু করার নেই– এমনটি মনে করছে নির্বাচন কমিশন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি আমার সংবাদকে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের পুরোদমে কার্যক্রম চলছে। নির্বাচন উপলক্ষে দল থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা প্রচার-প্রচারণা করছে। সকলেই জনসংযোগ বাড়িয়েছে।
সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ঝুঁলিয়ে নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণা চলাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ বেআইনি। বেআইনি প্রচারণার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে দলের বেঁধে দেওয়া সীমাবদ্ধতার মধ্যেই থাকতে হবে।
এদিকে আওয়ামী লীগ নির্বাচনি প্রচারণায় অনেকটা এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে আছে বিএনপি। দলটি এতদিন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন নিয়েই ব্যস্ত থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনি প্রচারণায় ভাট পড়েছে। তবে গতকাল খালেদা জিয়ার চার মাসের জামিন হওয়ার পর বেশ ফুরফুরে মেজাজে বিএনপির নেতারা। তারা এখন নির্বাচনি প্রচারণায় মন দেবেন বলে জানান। এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেডএম জাহিদ হোসেন বলেন এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা ও একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের জন্য আন্দোলনে মনোযোগ দেবেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি আমার সংবাদকে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের পুরোদমে কার্যক্রম চলছে। নির্বাচন উপলক্ষে দল থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা প্রচার-প্রচারণা করছে। সকলেই জনসংযোগ বাড়িয়েছে। সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ঝুলিয়ে নেতাকর্মীরা নির্বাচনি প্রচারণা চলাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ বেআইনি। বেআইনি প্রচারণার সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে দলের বেঁধে দেওয়া সীমাবদ্ধতার মধ্যেই থাকতে হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment